My ClickBD
২ সেকেন্ডে রুটি তৈরি হুমায়ুন কবিরের মেশিনে! লন্ডন, যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত (http://www.dailybnbnews.com/29884#.Uot1R1LQzTo) দেড় বছরের ছোট্ট বাবু লাইবাও রুটি বানাতে পারে। রুটি তৈরি সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও সে জানে ছোট্ট কাঠের এ মেশিনটির হাতল ধরে চাপ দিলেই তা রুটিতে পরিণত হয়। আর এ মেশিনটির আবিষ্কারক লাইবার বাবা হুমায়ুন কবীর। তিনি আমাদেরকে জানিয়েছেন, তার আবিষ্কৃত এই ‘লাইবা রুটি মেকার’ দিয়ে ছেলে, বুড়ো সবাই খুব সহজেই দ্রুত ও সুন্দরভাবে রুটি তৈরি করতে পারবেন। আর পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে মাত্র ২ সেকেন্ডে! বিদ্যুৎ ছাড়াই হাতে চালানো এ মেশিনটি বিদেশি রুটি বানানো যন্ত্রের চেয়েও অনেক বেশি সুবিধাজনক ও উন্নত। ইতোমধ্যেই ছোট একটি কারখানা করে বাণিজ্যিকভিত্তিতে রুটি বানানো মেশিন তৈরি শুরু করেছেন তিনি। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও যাচ্ছে এই মেশিনটি। হুমায়ুন কবীরের কারখানায় ৩ ধরনের মেশিন তৈরি করা হয়। দামও কয়েক রকম। মানের ভিত্তিতেই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলোর দাম যথাক্রমে ৪ হাজার ৫ হাজার ও ৬ হাজার পাঁচশত টাকা।আবিষ্কারক জানালেন যে এই সুহুতে´ রিসাচ´ প্রডাক্ট হবার কারনে এবং সম্পুণ´ হাতে তৈরী হবার কারনে মালের দাম বেশী কিন্তু বড় আকারে সেমি মেটালে প্রডাকশন করতে পারলে মালের দাম কমে আসবে। এদিকে ছোট কারখানার অল্প উৎপাদন দিয়ে চাহিদার ক্ষুদ্রতম অংশও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার কারখানা বড় করার ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে সে ইচ্ছা পূরণ করতে পারছেন না হুমায়ুন কবির। বাংলাদেশের মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার বুনাগাতী গ্রামের হুমায়ুন কবীর পেশায় আইটি বিশেষজ্ঞ। ২০১১ সালের শেষদিকে তিনি রুটি তৈরির একটি সহজ যন্ত্র তৈরির জন্য গবেষণা শুরু করেন। মাত্র ৩ মাসের গবেষণায় তিনি তৈরি করেন কাঠের তৈরি এ রুটি মেকার। কাঠ ও এক ধরনের পেপার টেকনোলজি ব্যবহার করে যন্ত্রটি তৈরি করেন তিনি। হুমায়ুন কবির জানান, নতুন এ রুটি তৈরির মেশিনে অনেক ধরনের রেসিপি অনুসারে রুটি ও পরোটা তৈরি করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে, বাংলাদেশি সিদ্ধ গমের আটার রুটি, সিদ্ধ চালের গুড়ার রুটি, কাঁচা গমের আটার রুটি, বাংলাদেশি তালের রুটি, কালিজিরা রুটি, মাসকালাইয়ের রুটি, মিষ্টি আলুর রুটি, দিল্লি-কা-রোটি, গারলিক রোটি, বেসন-রোটি, ভেজিটেবল টোস্ট রুটি, মাসরুম-রোটি, ইন্ডিয়ান বাটার-রোটি, খামিরি-রোটি, পালক-পরাটা, পনির-পরাটা, মাঠার-পরাটা, মেথি-পরাটা, গোবি-পারাটা, ইন্ডিয়ান এগ-পারাটা, কিমা পারাটা, লুচি ও ফুসকা ইত্যাদি। তিনি আরও জানান, এ মেশিনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, প্লে গ্রুপের শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই খুব সহজেই রুটি করতে পারবেন। প্রতিটি রুটি তৈরি করতে সময় লাগে মাত্র ২ সেকেন্ড। এই মেশিনে তৈরি হওয়া রুটি হবে কাগজের মতো পাতলা এবং আকারে বড়, তবে মোশনটি দিয়ে রুটি বানাতে গেলে অবশ্যই এই মোশনটি প্রপারলি ইউজ করা শিখে নিতে হবে। অনভিজ্ঞতার কারণে রুটি তৈরি করতে গিয়ে অনেকেই বিভিন্ন দেশের মানচিত্র বানিয়ে ফেলেন অন্তত তাদের সম্মান বাচাঁবে হুমায়ুন কবিরের এই মেশিনটা । কারণ এতে যে কোনো শেপের আটার খামি দেওয়া হোক না কেন, রুটি হবে ১০০% গোলাকার। হুমায়ুন কবীর উল্লেখ করেন, বাজারে ভারতীয় একটি রুটি মেকার থাকলেও সেটি বিদ্যুৎ চালিত এবং শুধুমাত্র কাঁচা আটার রুটি তৈরি করা যায়। কিন্তু সিদ্ধ আটার রুটি না হ্ওয়ায় ভারতীয় মেশিনটির সঙ্গে তার রুটি মেকারের তুলনা চলে না। হুমায়ুন কবীর আরও জানান, ইতিমধ্যেই তিনি আবিষ্কারটির প্যাটেন্ট রেজিস্ট্রেশন করে বাজারজাত করার জন্য তার বুনাগাতীর বাড়িতেই একটি ফ্যাক্টরি তৈরি করেছেন। এখানে নারী পুরুষ মিলিয়ে ১০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। মাসে সর্বোচ্চ ১শ’টি মেশিন তৈরি হচ্ছে তার ফ্যাক্টরিতে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই বাজারে তার রুটি মেকারের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বাইরে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, দুবাই, সৌদিআরব, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত ও ভুটানে তার রুটি মেকার গেছে। দেশের বাজারেও এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তিনি আরও জানান, যে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই ফোনে বা ইমেলের মাধ্যমে আমার এই রুটিমেকারের অডা´র করছেন। হুমায়ুন কবীরের ইচ্ছা ফ্যাক্টরিটি বড় করে যন্ত্রটিকে সেমি মেটালে নিয়ে মাসে অন্তত ৫ হাজার পিস উৎপাদন করার এবং দাম সাধারন সানুষের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার। তবে ইচ্ছা থাকলেও সাধ্য নেই হুমায়ুন কবীরের। এ জন্য তিনি ব্যাংক ঋণসহ সরকার বা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। হুমায়ুন কবীর আরও জানান, এই রুটি তৈরির মেশিন সম্পর্কে নতুন তথ্য ওবিস্তারিত জানতে বাংলায় “লাইবা রুটি মেকার” বা ইংরেজিতে“Laaibah Ruti Maker” লিখে গুগলে (www.google.com) সার্চ দিলে তথ্য পাওয়া যাবে। আবার ফোনে +৮৮০১৭৪০৮৬১৯১১, +৮৮০১৭৩১৪৯৪৫০১ সহ ই-মেইলের মাধ্যমেও যোগাযোগ করা যাবে, ই-মেইল ঠিকানা [email protected]. ইলেকট্রিক রুটি মেকারের সুবিধা-অসুবিধাঃ সুবিধা: ১। শুধু কাঁচা আটার রুটি হয়। ২। রুটি ভেজে দেয়। অসুবিধাঃ ১। সিদ্ধ আটার রুটি তৈরি করা যায় না। ২। রুটি খুব শক্ত হয়। ৩। চালের গুড়ার রুটি তৈরি করা যায় না। ৪। অন্যান্য দেশের রেসিপি অনুসারে রুটি তৈরি করা যায় না। ৫। একটা সময় পর ননস্টিক ঠিকমত কাজ করে না। ৬। আটার খামি তৈরির নিয়মে সহজেই অভ্যস্ত হওয়া যায় না। ৭। দ্রুত কয়েল নষ্ট হয়ে যায়। ৮। বিদ্যুত সাশ্রয়ী নয়, খরচ খুব বেশী। ৯। রুটি মোটা ও ছোট হয়। বাংলাদেশী লাইবা মাল্টি রেসিপি রুটি মেকারের সুবিধা-অসুবিধাঃ সুবিধা: ১। সিদ্ধ আটার রুটি খুব ভাল হয়। ২। সিদ্ধ চালের গুড়ার রুটিও খুব ভাল হয়। ৩। দেশী ও বিদেশী রেসিপি অনুসারে বিভিন্ন ধরনের রুটি তৈরি করা যায়। ৪। রুটি কাগজের মতো পাতলা করা যায়। ৫। বড় আকারের রুটি তৈরি করা যায়। ৬। মেশিনের গ্যারান্টি অনেক বৎসর। ৭। বিদ্যুৎ খরচ নাই। ৮। ১৫/২০ দিন পর পর রুটি-পেপারটি পরিবর্তন করতে হয় বলে এটি আজীবন নতুন থাকবে। ৯। আমাদের অভ্যস্ত স্বাদের রুটি তৈরি করা যায়। ১০। যন্ত্রটি যেকোনো আকারের আটার গোল্লাকে সম্পূর্ণ গোলাকার বানিয়ে দেয়। অসুবিধাঃ ১) ১৫/২০ দিন পর পর রুটি পেপার চেন্জ করার ঝামেলা আছে। ২। রুটি ভেজে দেয় না। Please contact at: Md. Humayun Kabir (+8801740861911) Mr. Sayeed (+8801732465958 ) Ms. Laboni (+88 01756217470 ) Ms. Kushum (+88 01731494501) House-20 (2nd Fl), Road-04, Shekhertek, Mohammadpur, Dhaka, Bangladesh E-mail: [email protected] |