My ClickBD
২ সেকেন্ডে রুটি বানানোর যন্ত্র “লাইবা রুটি মেকার” গতানুগাতিক চিত্র : গৃহিনীদের ঘুম থেকে ঝটপট উঠেই শুরু হয় রুটি বানানোর যুদ্ধ। আটা সিদ্ধ করার পরই পিঁড়ি এবং বেলুনের হাজার চেষ্টা ও কষ্টের পর কারও কারও দ্বারা সম্ভব হয় গোলাকার রুটি এবং এতে সময় ব্যয় হয় কমপক্ষে এক থেকে দেড় ঘন্টা। বর্তমান চিত্র : গৃহিনীরা ঘুম থেকে উঠেই পিঁড়ি-বেলুনেরদিকে মোটেই হাত বাড়ান না, বরং আস্তে ধীরে রুটি বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন। আটা সিদ্ধ করে আটার ময়ানের ছোট গোল্লাটি একটি যন্ত্রের মাঝখানে রেখে হালকা চাপ দিচ্ছেন এবং সর্বোচ্ছ ০২ সেকেন্ডেই তৈরী হয়ে যাচ্ছে কাংক্ষিত ১০০% গোলাকার পাতলা রুটি। এই প্রক্রিয়াতে সময় ব্যয় হচ্ছে সর্বোচ্ছ ১৫/২০ মিনিট। পাঠক আপনারা সবাই হয়ত মনে করছেন কি আজব কাহিনী তাই না? কি করে এটা সম্ভব হল? কারণ বাংলাদেশেরই এক কৃতী সন্তানের আবিষ্কার এই ২ সেকেন্ডে রুটি বানানোর যন্ত্র “লাইবা রুটি মেকার”। বাজারের ইলেকট্রিক রুটি মেকারের অসুবিধা : বাজারে চায়না থেকে আমদানীকৃত এক ধরনের ইলেকট্রিক রুটি মেকার পাওয়া যায় যা রুটি ভেজেও দিতে পারে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই এটা ব্যবহার করে সন্তুষ্ট নয়, কারণ ইলেকট্রিক রুটি মেকার এ রুটি ভাজা হলেও রুটি শক্ত চামড়ার মত হয়ে যায়, রুটিতে পোড়া পোড়া গন্ধ থেকে যায়, এতে শুধু কাঁচা আটার রুটি হয় কিন্তু সিদ্ধ আটার রুটি বা চালের গুড়ার রুটি বা রুটি জাতীয় অন্যান্য জিনিস বানানো যায় না। এছাড়া বিদেশী ইলেকট্রিক মেশিনে রুটি ঠিকমত বড় করা যায় না এবং রুটি গুলো মোটা মোটা থেকে যায়। লাইবা রুটি মেকারের যাদুকরি সুবিধা : এই মেশিনে সিদ্ধ আটার রুটি খুব ভাল হয়। কাঁচা আটার রুটি ও বিশেষ কায়দায় বানানো যায়। এছাড়া দেশ বিদেশের বিভিন্ন রেসিপি অনুসারে বিভিন্ন ধরনের রুটি বা রুটি জাতীয় পৃথিবীর সব ধরনের খাবার বানানো যায়। এমনকি লুচি, ফুচকা, সিংগাড়া, সমুচাও এই মেশিনে হয়। প্রতিটি রুটি ১০০% গোলাকার বানানো যায়। ছেলে বুড়ো সবাই এই মেশিনে রুটি বানাতে পারে। রুটি অটোমেটিক ভাবে ভাজা হয় না বলে ন্যাচারাল টেষ্ট অক্ষুন্ন থাকে। সাফল্য : হুমায়ুন কবীর বলেন অনেকেই প্রথমে এই রুটি মেকারের আগ্রহী হত না। মহিলারা বলাবলি করত অমুখ আপা আগে কিনুক, যদি সে এটাতে উপকার পায় তবে আমি কিনব। এর পর কোন ক্রেতা হয়ত কিনল এবং বাসায় নিয়ে গেল। সে এটার উপকার পেয়ে এতটাই মজা পেল যে সে তার আত্মীয়দের জন্য আরও কয়েকটির অর্ডার দিল। এভাবেই লাইবা রুটি মেকারের জনপ্রিয়তা আজ শীর্যে। প্রতিবন্ধকতা : এই মেশিন সুদক্ষ কারিগর দ্বারা এতটাই সুক্ষ্মভাবে বানানো হয় যে, এই মেশিনের উনিশ-বিশ বলে কিছু নেই। খুব যত্নের সাথে দক্ষ কারিগররাই ১০০% সঠিকভাবে এটা বানাতে পারে। একজন দক্ষ কারিগর দিনে এটা ০১ টির বেশী তৈরী করতে পারে না। হুমায়ুন বলেন মাসের পর মাস কাঠকে সিজনিং করতে হয়। তারপর এটাকে খুবই সুক্ষ্ম ভাবে তৈরী করতে হয়। সামান্যতম কোন ভূল হলেও রুটি ঠিকমত হবে না। বিভিন্ন সমস্য থেকে যাবে। হুমায়ুন কবীর বলেন, আমার এই মেশিন হুবহু বানানো সহজ কিন্তু সুন্দর রুটি হওয়ানো সহজ না। একটা মেশিন তৈরী হবার পরেও প্রায় মাস খানেক ফ্যাক্টরীতে রেখে ফাইনালী এর ওয়াটার লেবেল চেক করতে হয়, এ ছাড়া রুটি মেকার বানানো যায়না। মাগুরা সহ দেশের অন্যান্য জায়গায় কিছু ব্যবসায়ী এই রুটি মেকার বাননোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের জ্ঞানের স্বল্পতার কারনে তারা যেটা তৈরী করেছে তা দ্বারা ভোক্তারা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। কারন এই মেশিন তৈরী করতে এমন কিছু জ্ঞান দরকার যা অল্প দিনে আয়ত্ব করা সম্ভব নয়। হুমায়ুন কবীর এটাও বললেন কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সঠিকভাবে রুটি মেকার টি তৈরী না করে এবং মেশিনটির আনুসাঙ্গিক উপকরণ গুলো ছাড়াই মেশিন বাজারজাত করে ভোক্তাদেরকে চরম ভাবে ঠকাচ্ছে এবং বোকা বানাচ্ছে। রুটি মেকারটি পাবার উপায় : লাইবা রুটি মেকারটি মুলত আগে অর্ডার করে বানিয়ে নিতে হয়। সুদক্ষ কারিগরের সল্পতার কারণে সব সময় থাকে না। অধিকাংশ সময়ই প্রায় এক মাস পরের সিরিয়ালে মালের অর্ডার নেওয়া হয় এবং দেশে বিদেশে কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়। মাল বিপনন ও সরবরাহ করার জন্য ঢাকাতে ৬৭ নং পশ্চিম আগাঁর গাওয়ের সিদ্দিক টাওয়ারের ৪র্থ তলায় অফিস রয়েছে। লাইবা রুটি মেকারের ভিডিওটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন : https://www.youtube.com/watch?v=_r6VP-6NtL8 এই রুটি মেকারটি পেতে ডায়াল করুন: ০১৭৯৯৬০০০২০ |