My ClickBD
Antique Gramophone/কলের গান (HMV) 78RPM **বিধ্যাত ব্রিটিশ এইচ,এম, ভি (হিজ মাষ্টার্স ভয়েস) কোম্পানীর 78RPM গ্রামোফোন,যা আমাদের দেশে কলের গান নামে পরিচিত। কাঠের কেসের উপর এইচ,এম, ভি কোম্পানীর বিশ্ব বিখ্যাত নিপার ডগের প্রতিকৃতি সম্বলিত লোগো টি এখনো রয়েগেছে।তবে বয়সের ছাপে কিছুটা ঝাপসা (৪-নং ছবিতে দেখুন) হয়ে গেছে। আইটেম টির বয়স প্রায় ৭০/৮০ বছর,তবে এখন ও ১০০% সচল! নতুনের মত কাজ করে।এতে কোন প্রকার সামান্য তম ও যান্ত্রিক সমস্যা নেই।ক্রেতা যতক্ষন ইচ্ছা চালিয়ে দেখে নিতে পারবেন। এর কাঠের বডি, পিতলে হর্ন (চোঙ্গা) ও মেটালের তৈরী যান্ত্রিক সেকশন টি এখন ও দূর্দান্ত অবস্তায় আছে। এটা সম্পূর্ন গুন পোকা প্রতিরোধী টেকসই উন্নত মানের কাঠ ও মেটালের তৈরী।এটা তৈরীতে এইচ.এম.ভি কোম্পানী কোন প্লাষ্টিক এর ব্যাবহার করেনি। এত আগের একটি জিনিষ হওয়া সত্বেও এর কাঠের বডিতে এখন পর্যন্ত গুন পোকা ধরতে সক্ষম হয় নি।গুন পোকার একটি ছিদ্র ও এর কাঠের অংশে নেই,১০০%গ্যারন্টি। আমার জানা মতে এর কাঠের বডি কখনও রি-ভার্নিশ করা হয় নি। এর ভলিউম প্রায় ২০০-৩০০ ফুট দূর হতে ও শোনা যায়। তবে জিনিষ টি যেহেতু পুরনো দিনের প্রযুক্তি/পদ্ধতি তে তৈরী সেহেতু এর সাউন্ডকম বেশি করার কোন ব্যাবস্তা এতে নেই।তবে অডিও স্পিড কম,বেশি করার জন্য স্কেলের উপর স্থাপন করা একটি লিবার রয়েছে। লিবার টি ডানে,বাঁয়ে টেনে অডিও স্পিড ইচ্ছা মত কম,বেশি করা যায়।এ কাজ টি মূলত এর টার্নটেবল প্লেট এর ঘুর্নয়ন গতি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ঘটে। এ বিষয়ে যাদের ধারণা আছে তাহারা জানেন যে,কলের গান চালাতে কোন ব্যাটারী বা ইলেক্ট্রিসিটির প্রয়োজন হয় না।ইলেক্ট্রনিক্সের কোন কিছু-ই এতে নেই। গ্রামোফোন বা কলের গান সম্পূর্ন একটি যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করে।অর্থাৎ এটা চালানোর জন্য এতে একটি স্প্রিং মটর রয়েছে। ওয়ান্ডিং হ্যান্ডেলের সাহয্যে ঘুরিয়ে দিলে মটরের মধ্যস্থিত স্প্রিং-এ শক্তি সঞ্চিত হয়। সঞ্চিত শক্তি দ্বারা এটা চলতে থাকে।কলের গান এর ব্যাবহার যখন শুরু হয় আপনারা জানেন যে,তখন বিদ্যুৎ বা ইলেক্ট্রিসিটির ব্যাহার ছিল না বললেই চলে। তাইতো ব্রিটিশ HMV ও আমেরিকান Columbia কোম্পানী সহ তৎকালিন সকল গ্রামোফোন প্রস্তুত কারক কোম্পানী (বর্তমানে বিলুপ্ত)গুলি তখন মেকানিক্যাল পদ্ধতির গ্রামোফোন/কলেরগান উৎপাদন ও বাজারজাত করত।এই পদ্ধতি-ই ছিল তখন সমপোযোগী এবং ছিল অবাক করা একটি জিনিষ।কারণ মানুষ প্রথম দেখল যে,যন্ত্রের ভিতর হতে মানুষের কণ্ঠস্বর বেরিয়ে আসতে! তাইতো লোকে একে জাদুর বাক্স বলে ও ডাকত। আরও পরে অবশ্য বৈদুতিক শক্তি চালিত গ্রামোফোন বাজারে চলে আসে এবং জনপ্রিয়তা পায়,যা আপনারা (33RPM-45RPM) রেকর্ড প্লেয়ার/এলপি প্লেয়ার নামে চেনেন।তার পরে তো এল টেপ রেকর্ডার,ফলে বিদায় নিল কলের গান ও রেকর্ড প্লেয়ার।যায়গা হল জাদুঘরে।একই ধারাবাহিকতায় পরবর্তী সময়ে টেপ রেকর্ডারের যায়গা দখল করে নিল আবার সিডি প্লেয়ার।আর এখন তো মেমোরী কার্ড/হার্ড ডিস্কের ডিজিটাল ডিভাইসের দাপটে নতুন প্রজন্ম কলের গান,টেপ রেকর্ডার,রেকর্ড প্লেয়ার,সিডি প্লেয়ার কি জিনিষ তা চেনেই না। তবে এর শুরুটা হয়ে ছিল যা দিয়ে, এই সেই - বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের আবৃষ্কিত কলের গান। তাই কলের গান ইতিহাসের পাতায় অম্লান হয়েই থাকবে। এটা একটা পুরনো দিনের এন্টিক আইটেম। আধুনিক প্রযুক্তির কোন ডিভাইসের সাথে কোন ভাবেই মেলে না। ফলে এই ধরণের জিনিষ বর্তমানে আমাদের দেশে দূর্লভ!.অতএব বুঝতেই পারছেন, টাকার প্রয়োজনেই এমন একটি পারিবারিক পুরনো জিনিষ বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত।তাই অ-যৌক্তিক মূল্য অফার করে দয়াকরে বিরক্ত না করার জন্য সম্মানিত আগ্রহী ক্রেতা গনের প্রতি অনুরোধ রইল।বর্তমানে বিলুপ্ত/দূর্লভ এই জিনিষ টি ড্রয়িং রুমের শোভা বর্ধনের পাশাপাশি পারিবারিক ঐতিহ্য ও উপস্থাপন করে বটে! অতএব, কালেকশনের জন্য নিঃসন্ধে চমৎকার ও দূর্দান্ত একটি জিনিষ।ড্রয়িং রুমের কোনায় যতবার-ই এর দিকে দৃষ্টি যাবে ক্ষনিকের জন্য হলেও আপনাকে নিয়ে যাবে সোনালী অতীতের সেই বর্নিল সময়ে,হারিয়ে যাবেন এক নষ্টালজিয়ায়। যাইহোক,এর সাথে একটি 78RPM (মাটির) রেকর্ড ও কিছু গ্রামোফোন নিডল্ স ফ্রি দেয়া হবে।আরও রেকর্ড চাইলে আলোচনা সাপেক্ষে স্বল্প মূল্যে দেয়া যাবে।সিলেটের বাহিরের ক্রেতাগন এসএ পরিবহন/সুন্দরবন কুরিয়ারে নিতে পারবেন, আলোচনা সাপেক্ষে সেই ব্যাবস্তা করা যেতে পারে। ওয়েব সাইটের সীমাবদ্ধতা থাকায় ৫ টির বেশি ছবি দেয়া গেল না।প্রকৃত আগ্রহী ক্রেতাগন আরও বেশি ছবি চাইলে হোয়াট্স অ্যাপ/ ইমু আইডি দিন। তবে ক্রয়ের ইচ্ছা না থাকলে অযথা আমার সময় নষ্ট করবেন না, প্লিজ। আইটেম টির একটি ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে দেয়া হয়েছে।আগ্রহী ক্রেতাগন প্রয়োজন মনে করলে ভিডিও লিংক টি ও দেয়া হবে। সাইজ = কাঠের বডি ৩৬×৩৬×১৭ সেঃমিঃ = পিতলের তৈরী হর্ন (চোঙ্গা) = লং- ৭০ সেঃমিঃ, ওয়াইড- ৪২.৫সেঃমিঃ ধন্যবাদ! |