My ClickBD
আর নয় অপারেশান,এখন বিনা অপারেশানে অর্শ,গেজ,ভগন্দর/ফিষ্টুলা রোগের সু-চিকিৎসা আমাদের এখানে দেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগের ঠিকানাঃ অনোয়ারা মেডিকেল সেন্টার(৬৯,রহমান ম্যানশন ২য় তলা,দক্ষিন যত্রাবাড়ি,ইসলামী ব্যাংকের নীচে,ঢাকা-১২০৪) মোবাইলঃ ০১৭১২-৫০৪৮৭৭ রোগের বিবরনঃ অর্শঃ পাইলস(অর্শ) অতি পরিচিত একটি রোগ। এটাকে বলা হয় সভ্যতার রোগ। অর্থাৎ এই রোগটি উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের শহরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত লোকদের মাঝেই বেশি দেখা যায়। তার প্রধান কারণ তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি যেমন কম পানি, কম শাকসবজি, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া এবং সময়মতো মলত্যাগ না করা। উপরের উল্লেখিত জীবনযাপনের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায় এবং মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত প্রেসার দিতে হয়। ফলে মলদ্বারের চারদিকে রক্তনালী ও মাংসপি- ফুলে গিয়ে পাইলস সৃষ্টি করে। পাইলসের(অর্শ) উপসর্গ ১) গর্ভাবস্থায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। ২) পায়খানার সময় বিশেষ করে কষা পায়খানার সময় পাইলসের(অর্শ)রক্তনালী ছিঁড়ে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়। ৩) পায়খানার সময় ব্যথামুক্ত, টাটকা রক্তক্ষরণই পাইলসের(অর্শ) প্রধান ও প্রাথমিক লক্ষণ। তবে ধীরে ধীরে চিকিৎসার অভাবে এই রোগ জটিল আকার ও অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন- ক) পাইলস(অর্শ) মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসা খ) বের হওয়ার পর ভেতরে না প্রবেশ করা গ) ব্যথা ও ইনফেকশন দেখা দেয়া ইত্যাদি। গেজঃ মল কঠিন হলে অনেক সময় মলদ্ধার ফেটে যায়, প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং রক্ত যায়। এটাই হলো অ্যানাল ফিসার বা গেজ। যে কোন বয়সে এটা হতে পারে। প্রথমবার হলে প্রচন্ড ব্যথা হয়। এটা বার বার হয়। যখনই মল কঠিন হয় তখনই এটা আবার দেখা দেয়। তখন এটাকে বলে ক্রনিক অ্যানাল ফিসার। ক্রনিক অ্যানাল ফিসারে ব্যথা কম হয়। মলদ্বারের সামনে বা পেছনে বকের ঠোঁটের মত মাংস হাতে লাগে এবং এজন্য এটাকে গেজ বলে। অনেক দিন এই অবস্থা থাকলে এখানে ফিস্টুলা বা ভগন্দর হতে পারে। এই রোগের প্রধান চিকিৎসা হল মল নরম রাখা। মল নরম রাখার উপায়ঃ গরুর মাংস খাসীর মাংস কম খাওয়া প্রচুর শাক-সবজি, ফলমূল খাওয়া দৈনিক অন্তত ৮ গ্লাস পানি খাওয়া বেল,দুধ, ইসুবগুলের ভুসি, পেঁপে ইত্যাদি খাওয়া। ভগন্দর/ফিষ্টুলাঃ পায়ু পথের সঙ্গে চামড়ার অস্বাভাবিক সংযোগই হচ্ছে ফিস্টুলা বা ভগন্দর। এই ফিস্টুলা হওয়ার আগে রোগীর মলদ্বারের আশপাশে প্রথমে ফোঁড়া হয়। এই ফোঁড়া অযত্ন-অবহেলায় নিজে নিজেই ফেটে যেতে পারে কিংবা অধিক হারে পুঁজ বের হওয়ার দরম্ন ফোঁড়া বৃদ্ধি পেয়ে মলদ্বারের ভেতর ও বাইরের মধ্যে অস্বাভাবিক সংযোগ স্থাপন করে। এমতাবস্থায় মাঝে মধ্যেই বাইরের মুখ ৰণস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গিয়ে পুঁজ বা কষ ঝরতে থাকে এবং কিছুটা ফুলে যায়। ফলে রোগীর মলদ্বারে ব্যথা ও হাল্কা জ্বর হয়। বন্ধ মুখ খুলে গিয়ে পুঁজ/কষ বের হয়ে গেলে রোগী আরামবোধ করে। কিন্তু কিছুদিন পর আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং ভেতর বা বাইরে একাধিক মুখের সৃষ্টি হতে পারে। |