My ClickBD
কেন ইলেকট্রিক বাইক কেনা- বাংলাদেশে বসবাসকারীদের জন্য দেশটি ঘুরে দেখতে ইলেকট্রিক বাইক ব্যবহার করার চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে?যদি আপনার চুলে মুক্ত বাতাসের স্পর্শ লাগাতে চান এবং পৃথিবীর সকল ব্যস্ততা ভুলে রাস্তায় চলতে চান, তাহলে ইলেকট্রিক বাইক হলো আদর্শ। বাংলাদেশের যেকোন রাস্তায়/স্থানে আপনাকে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার জন্য ইলেকট্রিক বাইক একটি নিরাপদ বাহন, কারণ এগুলো ঘণ্টায় প্রকারভেদে ৫০-৮০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করে। বাংলাদেশে ইলেকট্রিক বাইক ব্যবহারের উপর একটি বিশদ বিবরণ এখানে দেয়া হলো। ইলেকট্রিক বাইক কী? রিচার্জেবল ব্যাটারির সাথে ইলেকট্রিক মোটরের সমন্বয়ের কারণে ইলেকট্রিক বাইক অন্যান্য বাইক থেকে আলাদা। জ্বালানী তেলের পরিবর্তে এগুলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে যাওয়ার জন্য ব্যাটারিটি সম্পুন চার্জ করে নিতে হবে। একটি ইলেকট্রিক বাইক একবার চার্জ করার পর মুলত ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। এটি চার্জ করতে যেকোনো সাধারণ ইলেকট্রিক আউটলেটে প্লাগটি লাগিয়ে দিন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৫-৭ ঘণ্টার মধ্যেই তা পুরো চার্জ হয়ে যাবে। যেহেতু বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি, তাই বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য একটি ইলেকট্রিক বাইক অনেক বেশি কার্যকর । সাধারণ (জ্বালানী তৈলে চালিত) বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইকের সুবিধাবলী:- প্রধান শক্তির উৎসের ভিত্তিতে যখন আপনি যে কোন সাধারণ বাইক এর সাথে ইলেকট্রিক বাইকের তুলনা করবেন, তখন আপনি অন্যান্য বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইকের ক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে অজস্র সুবিধাবলী দেখতে পাবেন। • ইহা দেখতে, আকারে ও দামে একই রকম হলেও, সাধারণ বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইক সহজে তদারকি করা যায় এবং এটি অনেক দ্রুত ত্বরণ নিতে পারে। • ইলেকট্রিক স্কুটার ক্ষেত্রে মেরামত অনেক কম লাগে, আপনাকে শুধু নিশ্চিত হতে হবে যে ব্রেক প্যাড এবং টায়ারগুলোর অবস্থা ভালো রয়েছে। অন্যদিকে, সাধারণ বাইকে ক্ষতি থেকে সুরক্ষার জন্য এমন অনেক যন্ত্রাংশ রয়েছে, যা নিয়মিতভাবে মেরামত করতে হয় • এটি কোন তাপ উৎপন্ন করে না তাই পরিবেশ বান্দব। • সাধারণ বাইক অনেক দামী হলে ও মাঝে মধ্যে চরম বিরক্তি সৃষ্টি করে যেমন- যখন তখন ষ্টার্ট বন্ধ, তেল, মোবিল চেক করা, চেইন মেরামত, চালু অবস্হায় ক্লাস ধরে রাখা, বার বার গিয়ার পরিবতন করা ইত্যাদি ইলেকট্রিক বাইক এইসব ঝামেলামুক্ত, সহজ ও ঝুকিবিহীন। • ইলেকট্রিক বাইক খুবই সামান্য শব্দ করে চলে, যা বাংলাদেশের ব্যস্ত রাস্তায় অন্যদের বিরক্তির কারণ হয় না, এসব কারণে ইলেকট্রিক বাইক সাধারণ বাইকের তুলনায় অনেক বেশী পরিবেশ বান্ধব। • সাধারণ বাইক ইলেকট্রিক বাইকের তুলনায় দ্রুত চলে বিধায় প্রতিনিয়ত দূরঘটনার সন্মুখীন হয়। • সাধারণ বাইকের তুলনায় ইলেকট্রিক বাইকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর জ্বালানি সাশ্রয়ের ক্ষমতা। উদাহরণ স্বরূপ, যখন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পায়, তখন তার তুলনায় বিদ্যুতের দাম অল্প বেড়ে থাকে। • সাধারণ বাইকের প্রতি কিমি জ্বালানি খরচ ৪ টাকা অন্যদিকে ইলেকট্রিক বাইকের প্রতি কিমি জ্বালানি খরচ ০.১৫ টাকা যা ২২০০% বেশী এই অতিরিক্ত খরচের টাকায় আরো ১টি বাইক কেনা যায়। উদাহারণ সরূপ: আপনি ১,১৫,০০০ টাকায় একটি ইলেকট্রিক বাইক কিনলেন তা সর্বোচ্চ ৪৫,০০০ কিমিঃ চলার পর ব্যাটারী দূর্বল হলে সর্বোচ্চ ২০,০০০ টাকা বিনিয়োগে তা আবারো ৪৫,০০০ কিমিঃ চলার জন্যে্ উপযোগী হবে তাতে প্রতি ৪৫,০০০ কিলিঃ (০.১৫ টাকা/কিলিঃ) বিদ্যুৎ খরচ ৬৭৫০/-অন্যদিকে সাধারণ বাইকের (৪ টাকা/কিলিঃ) জ্বালানি তেলের খরচ ১৮০,০০০/- এ খরচে আপনি অনায়াসে আরও একটি নতুন ইলেকট্রিক বাইক (১৮০০০০-৬৭৫০)=১,৭৩,২৫০/- কেনা সম্ভব। • এক হিসেবে ৪৫০০০ কিমি: চলার ক্ষেত্রে নতুন বাইকের মূল্যসহ কিমি: প্রতি খরচ মাত্র ২.৭০ টাকা (১১৫০০০+ ৬৭৫০=১২১৭৫০÷৪৫০০০)অন্যদিকে সাধারণ বাইকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তেলের খরচ ৪ টাকা/কিমি • ইলেকট্রিক বাইক রি-সেইল ভেলু না থাকলে ও এর উপকারীতার বলে শেষ করা যাবে না। তাই উন্নত বিশ্বে এর ব্যবহার অনেক বেশী। |